ত্বকের যত্নে টমেটোর উপকারিতা

ত্বক আমাদের অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ন একটা জায়গা। ত্বকের যত্ন আমাদের সবারই করা উচিত। ছেলে মেয়ে উভয়েরই ত্বকের যত্নের প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিত। আমাদের অনেকের ত্বক ভীষণ তৈলাক্ত আবার অনেক শুষ্ক। তবে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আসলে অনেক রকম সমস্যা দেখা যায়। তৈলাক্ত তোকে ব্রণ বেশি দেখা দেয়। অনেক সময় কালো দাগ দেখা দেয় অতিরিক্ত তৈলাক্ত হওয়ার কারণে।
আসুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে টমেটোর মাধ্যমে আমার আমাদের ত্বকের যত্ন নিবো। এবং আমাদের এসব তৈলাক্ত, শুষ্কতা, ব্রণ,কালো দাগ কিভাবে দুর করবো। 
 ভূমিকা টমেটো শুধু রান্নার বা সালাতের জন্যই প্রয়োজনীয় না এটি আমাদের ত্বকের জন্য অধিক উপকারী। টমেটোর রস আবার কখনো কখনো টমেটোর পেস্ট ত্বকের ব্রণ,কালো দাগ,শুষ্কতা,তৈলাক্ততা,দুর করে ত্বককে সবসময় অদ্র রাখে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। 

 তৈলাক্ত ভাব কমায়: 

আমাদের অনেকেরই ত্বক প্রচুর তৈলাক্ত। টমেটো আমাদের ত্বকের তৈলাক্তভাব জমাতে অনেক সাহায্য করে। একটি টমেটো অর্ধের করে কেটে টা পুরো মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫-২০ মিনিট। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে অনেকাংশে মুখের তৈলাক্তভাব কমে যাবে। টমেটো মুখের তেল উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে।

 ব্রণ দূর করে:

টমেটোর রস ব্রণের দাগ দূর করতে অনেকাংশে সাহায্য করে। একটি টমেটোর রস এর সাথে কিছু লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর সেটা মুখের যেসব জায়গায় ব্রণ সেসব জায়গায় লাগিয়ে রাখতে হবে। 

আরো পড়ুন: পুদিনা পাতার যত ব্যবহার

১৫-২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কিছু সপ্তাহ ব্যবহার করলেই ব্রণ অনেকাংশেই কমানো সম্ভব। 

 মুখের কালো দাগ কমাতে:

 মুখের কালো দাগ দূর করতে টমেটো অনেক উপকারী। টমেটো আর অভোক্যাডোর মিশ্রণ তোলার কালো দাগ দূর করে। টমেটো ও অভোক্যাডো ২ টা ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবং মুখের কালো দাগ এর ওপর লাগিয় রাখতে হবে ২০-২৫ মিনিট এবং শুকিয়ে গেলে তা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

 মৃত কোষকে উজ্জীবিত করতে: 

টমেটো আর চিনির মিশ্রণ ত্বকের মরা কোষকে পুনরায় জীবিত করে। একটা টমেটোর অর্ধেক কেটে তাতে চিনি লাগিয়ে ত্বকের সাথে আলতো করে ঘষা দিতে হবে। ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে ।

লেখক এর মন্তব্য 

ত্বকের যত্নে টমেটোর উপকারিতা এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে ক্ষুদ্র পরিসরে। আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত করতে চান তাহলে নিচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে করতে পারেন। আমরা আপনার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আটিকেল নিয়মিত পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন আর আর্টিকেলটি পড়ার পর যদি আপনি উপকৃত হয়েছেন বলে মনে হয় তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট এটি শেয়ার করতে পারেন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url