এলার্জিতে নিম পাতার যত ব্যবহার

এলার্জি বহুল আলোচিত একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সময়ে।এলার্জি মোটেও অবহেলার বিষয় নয়। আমারা হয়তো এলার্জিকে সেভাবে গুরুত্ব দিই না। কিন্তু এই এলার্জি একদিন অনেক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আপনি কি দীর্ঘদিন যাবত এলার্জির সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্য। চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক, কিভাবে এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার

প্রাচীনকাল থেকেই নিম পাতার ব্যবহার অনেক। নিম পাতার গুণাগুণ বলে শেষ করার মতো না। বিশেষ করে এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার বহুল প্রচলিত। এলার্জির সমস্যা কম বেশি এখন সব মানুষেরই আছে।
 বিশেষ করে যেসব খাবারে এলার্জি আছে যেমন: গরুর দুধ, গরুর মাংস, হাসের ডিম, হাসের মাংস, ইলিশ মাছ,মসুর ডাল, পুঁইশাক,পালংশাক,বেগুন,মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি। তো এসব খাবার খেলে এলার্জির পরিমাণ বেড়ে যায় এবং অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। 
বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকমের এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন: কারো শরীরে চুলকায়, করো চোখ অনেক চুলকায়, অনেকের গায়ে  লাল লাল দাগ হয়ে যায়। 
এসব সমস্যা সমাধানের জন্য নিম পাতার ব্যবহার অনেক ভালো এবং কার্যকর।

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহার সেই বহুল আগে থেকেই হয়ে আসছে। আমাদের যাদের শরীরে চুলকানির সমস্যা তারা প্রতিদিন ১৫-২০ টা নিম পাতা গরম পানির মধ্যে দিয়ে সেটি সিদ্ধ করে। তারপর সেই পানি হালকা কুসুম গরম করে গোসল করলে শরীরের চুলকানি থেকে উপশম পাওয়া সম্ভব।

চোখের এলার্জিতে নিমপাতার ব্যবহার

এখন ছোট বড় সকলের চোখের এলার্জির সমস্যা বেশ বেড়েছে। অনেকের চোখ লাল হয় আবার অনেকের চোখ অনেক চুলকায়। যাদের এমন সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন ১০-১২ টা নিম পাতা পানির মধ্যে নিয়ে সেই পানি ফুটিয়ে তারপর হালকা কুসুম গরমে নেমে আসলে সেই পানি দিয়ে চোখে ঝাপটা দিতে হবে। এতে করে চোখের সমস্যা অনেকটাই দূর হবে।

ব্রণের সমস্যায় নিম পাতার ব্যবহার 

ব্রণ এখন আমাদের একটা মৌলিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছেলে মেয়ে উভয়েরই সমস্যা দেখা যায়। আমরা আমাদের ত্বককে সবসময় অনেক সুন্দর রাখার চেষ্টা করি কিন্তু হয়ে উঠে না। তো  যাদের ব্রণের সমস্যা প্রচুর তারা যা করতে পারেন তা হল, অনেকগুলো নিমপাতা  বেটে পেস্ট করতে হবে এবং সেই পেস্ট যেসব জায়গায় ব্রণ আছে সেসব জায়গায় লাগাতে হবে।

এতে করে অনেকটাই ব্রনের সমস্যা দূর হবে। অথবা এটি অন্যভাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে, নিম পাতা রোদে ভালো হবে শুকিয়ে সেগুলোকে গুঁড়ো করে কাচ বা প্লাস্টিকের কৌটায় সংরক্ষণ করতে হবে এবং সেখান থেকে এক চা চামচ নিমপাতার গুড়া এবং সাথে মধু নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট করে যে সব জায়গায় ব্রণ আছে সে সব জায়গায় লাগাতে হবে এবং ১০-১৫ মিনিট রাখতে। এবং শুকিয়ে গেলে  ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে ব্রণের সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। 

তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার 

তৈলাক্ত ত্বক অনেকাংশেই একটি বিরক্তিকর বিষয়। আমাদের অনেকেরই ত্বক অনেক তৈলাক্ত। বাহির থেকে যখন বাসায় আসা হয় কাজ সেরে। আয়নায় নিজের ত্বক দেখলে একটি বিরক্তিভাব তৈরি হয় নিজের মধ্যে। নিম পাতার ব্যবহারে তৈলাক্ত ত্বক এর সমস্যা অনেকাংশে দূর করা সম্ভব। 

এক্ষেত্রে নিম পাতার পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবং প্রতিদিন সেই পেস্ট মুখে ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং সেটা ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর হবে।

লেখক এর মন্তব্য 

এলার্জির সমস্যা দূরীকরণে কিভাবে নিম পাতা ব্যবহার করবেন এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিত ভাবে নিম পাতার ব্যবহার আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত করতে চান তাহলে নিচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে করতে পারেন। আমরা আপনার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আটিকেল নিয়মিত পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন আর আর্টিকেলটি পড়ার পর যদি আপনি উপকৃত হয়েছেন বলে মনে হয় তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট এটি শেয়ার করতে পারেন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url