আপনি কি বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান? উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অসাধারণ ভূমিকা পালন করছে। এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশের সেরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা তুলে ধরবো, যা আপনার উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে।
|
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা |
আসুন জেনে নেই, কোন কোন প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষার মান, গবেষণা কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের সফলতার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে।
নিচে বাংলাদেশের সেরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেওয়া হলো:
১.ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (DU)
প্রতিষ্ঠা: ১৯২১
অবস্থান: ঢাকা
বিশেষত্ব: প্রাচীনতম ও মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য।
২.বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (BUET)
প্রতিষ্ঠা: ১৯৬২
অবস্থান: ঢাকা
বিশেষত্ব: প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য শীর্ষস্থানীয়।
৩.রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (RU)
প্রতিষ্ঠা: ১৯৫৩
অবস্থান: রাজশাহী
বিশেষত্ব: উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম এবং মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
৪.জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (JU)
প্রতিষ্ঠা: ১৯৭০
অবস্থান: সাভার, ঢাকা
বিশেষত্ব: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পাস।
৫.চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (CU)
প্রতিষ্ঠা: ১৯৬৬
অবস্থান: চট্টগ্রাম
বিশেষত্ব: বৃহত্তম ক্যাম্পাস এবং বৈচিত্র্যময় বিভাগ।
৬.বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (BAU)
প্রতিষ্ঠা: ১৯৬১
অবস্থান: ময়মনসিংহ
বিশেষত্ব: কৃষি শিক্ষার জন্য শীর্ষস্থানীয়।
৭.ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (IU)
প্রতিষ্ঠা: ১৯৮৫
অবস্থান: কুষ্টিয়া
বিশেষত্ব: ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিখ্যাত।
৮.শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (SAU)
প্রতিষ্ঠা:১৯৩৮
অবস্থান: ঢাকা
বিশেষত্ব: কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষায়িত।
৯.বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (BUP)
প্রতিষ্ঠা: ২০০৮
অবস্থান: ঢাকা
বিশেষত্ব: পেশাদারী শিক্ষার জন্য বিশেষায়িত।
১০.খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (KU)
প্রতিষ্ঠা: ১৯৯১
অবস্থান: খুলনা
বিশেষত্ব:বাংলাদেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় একটু ভিন্ন শিক্ষাব্যবস্থা অনুসরণ করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে পড়াশোনা করা শুধুমাত্র একটি শিক্ষা গ্রহণ নয়, এটি এক ধরনের গৌরব ও সম্মানের বিষয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের শিক্ষা, গবেষণা, এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে।
|
কার্জন হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১লা জুলাই, ১৯২১ সালে ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড রোনাল্ডশে এবং বাংলার গভর্নর লর্ড কারমাইকেলের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। পূর্ব বাংলায় উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
অনুষদ ও প্রতিষ্ঠান:
- কলা অনুষদ
- বিজ্ঞান অনুষদ
- ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ
- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
- আইন অনুষদ
- জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদ
- চারুকলা ইনস্টিটিউট
- শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন এবং গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর গ্রাজুয়েটরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস গৌরবময় এবং দেশ ও জাতির উন্নয়নে এর অবদান অপরিসীম।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
বাংলাদেশের শীর্ষ প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং এটি দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বুয়েটের শিক্ষার মান, গবেষণা কার্যক্রম, এবং গ্রাজুয়েটদের সাফল্য দেশ এবং বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
বুয়েটের ইতিহাস:
বুয়েটের যাত্রা শুরু হয় ১৯১২ সালে, তখন এটি ঢাকা স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ১৯৪৮ সালে এটি আযীযুন্নেসা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৬২ সালে এটি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।
অনুষদ ও বিভাগ:
বুয়েটের মোট ১৮টি বিভাগ রয়েছে, যেখানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এবং পিএইচডি পর্যায়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। উল্লেখযোগ্য বিভাগগুলো হলো:
বিভাগ:
- ফিজিক্স বিভাগ
- রসায়ন বিভাগ
- বায়োকেমিস্ট্রি ও মলেকুলার বা বায়োলজির বিভাগ
অনুষদ (ফ্যাকাল্টি):
- বিজ্ঞান অনুষদ
- প্রকৌশল অনুষদ
- ব্যবসায় অনুষদ
- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
- ইসলাম ও ইতিহাস অনুষদ
- কৃষি ও প্রকৃতি বিজ্ঞান অনুষদ
- কৃষি ও প্রকৃতি বিজ্ঞান অনুষদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রথম অডিটর হওয়ার পরিচিতিতে, ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান, ব্যবসায় ও শিল্প, সামাজিক বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়বস্তুর অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করে।
|
মেইন গেট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
বাংলাদেশের একটি প্রমুখ সার্বকালিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের সাতটি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। ২১ জুন ১৯৫৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটির প্রধান সদর ক্যাম্পাস রাজশাহী শহরের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।
অনুষদ এবং বিভাগ:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলি শিক্ষা ও গবেষণার অনুষদ ও বিভাগ রয়েছে, যেমন:
অনুষদ (ফ্যাকাল্টি):
- বিজ্ঞান অনুষদ
- ব্যবসায় অনুষদ
- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
- কৃষি অনুষদ
- ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ
- ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদ
- কৃষি ও জীব বিজ্ঞান অনুষদ
বিভাগ:
- ফিজিক্স বিভাগ
- রসায়ন বিভাগ
- জীব বিভাগ
- গণিত বিভাগ
- প্রকৌশল বিভাগ
- পুরাতন ও বিশ্বজনীন ইতিহাস বিভাগ
- ইংরেজি বিভাগ
- বাংলা বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি। এটি ১৯৭০ সালে স্থাপিত হয়েছিল এবং মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। এটির প্রধান ক্যাম্পাস ঢাকার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।
|
শহীদ মিনার , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় |
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এটি ২০ অগাস্ট ১৯৭০ সালে স্থাপিত হয়েছিল। যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম চলমান ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্যাম্পাস ঢাকার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের শিক্ষার স্তর এবং গবেষণার মানসম্মত বৃদ্ধি করা। প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ব্যবসায় ও শিল্প, সামাজিক বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হয়।
অনুষদ এবং বিভাগ:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদ এবং বিভাগ রয়েছে যেমন:
অনুষদ (ফ্যাকাল্টি):
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ
- ব্যবসায় ও অর্থনীতি অনুষদ
- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
- ইসলাম ও ধর্ম বিজ্ঞান অনুষদ
- ভূমি ও পরিবার পরিকল্পনা অনুষদ
- চিকিৎসা ও চিকিৎসাবিদ্যা অনুষদ
- শিক্ষা অনুষদ
বিভাগ:
- বিজ্ঞান বিভাগ
- প্রযুক্তি বিভাগ
- ব্যবসায় ও অর্থনীতি বিভাগ
- সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগ
- ইসলাম ও ধর্ম বিজ্ঞান বিভাগ
- ভূমি বিভাগ
- চিকিৎসা বিভাগ
- চিকিৎসাবিদ্যা বিভাগ
- শিক্ষা বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের প্রধান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি। এটি ১৯৬৬ সালে স্থাপিত হয়েছিল এবং চট্টগ্রাম শহরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।
|
শহীদ মিনার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
এটি বাংলাদেশের একটি প্রমুখ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চিহ্নিত। এটি ১৮ নভেম্বর ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের অধীনে প্রতিষ্ঠান হয়। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম শহরের গুজবাজার এলাকায় অবস্থিত ছিল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান হয়েছিল মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া। প্রথমে এটি দু'টি ফ্যাকাল্টির সাথে শুরু হয়েছিল - বিজ্ঞান ফ্যাকাল্টি এবং আর্টস ফ্যাকাল্টি।
অনুষদ এবং বিভাগ:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ এবং বিভাগগুলি নিম্নলিখিত হলো:
অনুষদ (ফ্যাকাল্টি):
- বিজ্ঞান অনুষদ
- প্রকৌশল অনুষদ
- ব্যবসায় অনুষদ
- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
- ইসলাম ও ইতিহাস অনুষদ
- কৃষি ও প্রকৃতি বিজ্ঞান অনুষদ
- কৃষি ও প্রকৃতি বিজ্ঞান অনুষদ
বিভাগ:
- ফিজিক্স বিভাগ
- রসায়ন বিভাগ
- গণিত বিভাগ
- বায়োলজি বিভাগ
- অধুনিক ভারত বিভাগ
- ইংরেজি বিভাগ
- বাংলা বিভাগ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের একটি প্রমুখ কৃষি ও প্রকৃতি বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত।
|
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
|
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস উল্লেখযোগ্য। এটি বাংলাদেশের প্রথম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৮ অগাস্ট ১৯৬১ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান ছিলেন প্রফেসর ডঃ আতির রহমান। এটি মূলত একটি কৃষি ও প্রকৃতি বিজ্ঞান কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার মাধ্যমে দেশের কৃষি সেক্টরের উন্নয়ন এবং গবেষণার মাধ্যমে উন্নত পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদনে অবদান রাখা হত।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য ছিল দেশের কৃষি অর্থনীতির জন্য প্রযুক্তিগত ও বিজ্ঞানিক সমাধান উত্থান করা। প্রতিষ্ঠানের এই উদ্দেশ্যের সাথে মিলিত কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রচেষ্টা করে এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বৃহত্তর কৃষি প্রতিষ্ঠানের হিসেবে অগ্রগতি করেছে।
অনুষদ এবং বিভাগ:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লক্ষ্য হল কৃষি ও প্রকৃতি বিজ্ঞানের মাধ্যমে দেশের কৃষি উন্নয়ন করা। এখানে বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে, যেমন:
অনুষদ (ফ্যাকাল্টি):
1. কৃষি অনুষদ
2. প্রকৃতি বিজ্ঞান অনুষদ
3. শিল্প অনুষদ
4. প্রকৌশল অনুষদ
বিভাগ:
1. কৃষি বিভাগ
2. সস্ত্রবিজ্ঞান বিভাগ
3. সমগ্র কৃষি শিক্ষা বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের একটি প্রমুখ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি কুষ্টিয়া শহরে অবস্থিত এবং ইসলামিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
|
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় |
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এবং উদ্দেশ্য একটি দীর্ঘ ও গর্বময় ইতিহাসের অংশীদার। এটি ২২ নভেম্বর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরের একটি কার্যক্রম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টির উদ্দেশ্য ছিল ইসলামিক শিক্ষা, সংশ্লিষ্ট গবেষণা ও সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানের মাধ্যমে শিক্ষার প্রদান করা। বিশ্ববিদ্যালয়টির এই মূল উদ্দেশ্যগুলি বজায় রেখে এটি এখন একটি প্রযুক্তিগত, শিক্ষার উন্নয়নশীল এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছে।
অনুষদ এবং বিভাগ:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ টি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগ রয়েছে।
অনুষদ (ফ্যাকাল্টি):
- ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদ
- প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ
- জীববিজ্ঞান অনুষদ
- বিজ্ঞান অনুষদ
- ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ
- কলা অনুষদ
- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
- আইন অনুষদ
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি প্রমিনেন্ট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি গাজীপুর জেলায় অবস্থিত এবং কৃষি শিক্ষার এবং গবেষণার জন্য পরিষেবা দেয়।
|
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় |
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, যা পূর্বে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত ছিল। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি প্রথমে আলিগড় বাংলাদেশ ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ হিসেবে পরিচালিত হত।
১৯৯১ সালে এর নাম পরিবর্তন করে "শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়" হয়ে উঠে। এটি গাজীপুর জেলায় অবস্থিত এবং একটি প্রযুক্তিগত এবং মানব সম্পদ সমৃদ্ধ ক্যাম্পাস পরিবেশে অবস্থিত।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪টি অনুষদ এবং ৩৬ টি বিভাগ রয়েছে।
অনুষদ (ফ্যাকাল্টি):
- কৃষি অনুষদ
- কৃষিব্যবসা ব্যবস্থাপনা অনুষদ
- পশুপালন ও চিকিৎসা অনুষদ
- মৎস্য, অ্যাকুয়াকালচার ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান অনুষদ
বিভাগ:
- কৃষিতত্ত্ব বিভাগ
- উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ
- মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ
- কৃষি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
- কৃষি সম্প্রসারণ এবং তথ্যপদ্ধতি বিভাগ
- কীটতত্ত্ব বিভাগ
- কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ
- উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ
- প্রাণরসায়ন বিভাগ
- কৃষি রসায়ন বিভাগ
- কৃষি বনায়ন এবং পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ
- মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ
- কৃষি প্রকৌশল বিভাগ
- জৈব প্রযুক্তি বিভাগ
- ভাষা বিভাগ
- বীজ প্রযুক্তি বিভাগ
- কৃষি অনুষদ
- কৃষিব্যবসা ব্যবস্থাপনা অনুষদ
- পশুপালন ও চিকিৎসা অনুষদ
- মৎস্য, অ্যাকুয়াকালচার ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান অনুষদ
- কৃষিতত্ত্ব বিভাগ
- উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ
- মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ
- কৃষি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
- কৃষি সম্প্রসারণ এবং তথ্যপদ্ধতি বিভাগ
- কীটতত্ত্ব বিভাগ
- কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ
- উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ
- প্রাণরসায়ন বিভাগ
- কৃষি রসায়ন বিভাগ
- কৃষি বনায়ন এবং পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ
- মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ
- কৃষি প্রকৌশল বিভাগ
- জৈব প্রযুক্তি বিভাগ
- ভাষা বিভাগ
- বীজ প্রযুক্তি বিভাগ
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (BUP)
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (Bangladesh University of Professionals) বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মতো বিভিন্ন পেশাগত ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা দেয়।
|
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস |
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস এর ইতিহাস
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (বিইউপি) বাংলাদেশের প্রথম প্রফেশনাল ও টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এনে একত্রিত করে সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০৮ সালের ৫ জুন ঢাকার মিরপুর সেনানিবাসে "জ্ঞানের মাধ্যমে উৎকর্ষ সাধন" নীতিবাক্য নিয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩০ নং আইন) ঘোষণা করা হয়।
অনুষদ এবং বিভাগ:
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ
- ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ
- কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ
- নিরাপত্তা ও কৌশলগত অনুষদ
- চিকিৎসাবিদ্যা বিষয়ক অনুষদ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, যা খুলনা ইউনিভার্সিটি (KU) নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের একটি প্রধান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার বিভিন্ন শাখায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রোগ্রাম প্রদান করে।
|
অদম্য বাংলা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় |
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
১৯৭৪ সালে ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে খুলনা বিভাগে উচ্চ শিক্ষার্থে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। ১৯৭৯ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন সরকারের ক্যাবিনেটে খুলনায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অধ্যাদেশ ৫(১)জি ধারা মতে খুলনা বিভাগে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ১৯৮৩ সালে সরকারের কাছে প্রস্তাব পেশ করা হয়। ১৯৮৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৮৯ সালের ১ অগাস্ট বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গোলাম রহমানকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রকল্প পরিচালক এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯০ সালের ৩১ জুলাই তারিখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংসদে পাস হয় যা এই প্রতিষ্ঠানের কার্যবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। অবশেষে, ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর একাডেমিক কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
অনুষদ এবং বিভাগ:
বর্তমানে ৮ টি অনুষদের অধীনে ২৯ টি বিভাগ রয়েছে।
অনুষদ (ফ্যাকাল্টি):
- বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ
- জীববিজ্ঞান অনুষদ
- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
- কলা ও মানবিক অনুষদ
- আইন অনুষদ
- ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ
- চারুকলা অনুষদ
বিভাগ:
- স্থাপত্য বিভাগ
- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
- নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা বিভাগ
- ইলেক্ট্রনিক্স ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগ
- গণিত বিভাগ
- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
- রসায়ন বিভাগ
- পরিসংখ্যান বিভাগ
- ফিশারীজ ও মেরিন রিসোর্স টেকনোলজী বিভাগ
- বনবিদ্যা ও কাঠ প্রযুক্তি বিভাগ
- পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ
- জীবপ্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগ
- মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ
- কৃষি প্রযুক্তি বিভাগ
- ফার্মেসি বিভাগ
- ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ
- মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ
- ইতিহাস ও সভ্যতা
- অর্থনীতি বিভাগ
- সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
- উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ
- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
- সম্পাদনা
- আইন বিভাগ
- সম্পাদনা
- অংকন এবং চিত্রন
- মুদ্রণ তৈরি
- স্কাল্পচার (ভাস্কর্য)
লেখক এর মন্তব্য
উপরের বর্ণিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চশিক্ষার মান, গবেষণা, এবং শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের দীর্ঘ ইতিহাস এবং শিক্ষা মানের জন্য পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দিয়ে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত করতে চান তাহলে নিচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে করতে পারেন। আমরা আপনার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন আর আর্টিকেলটি পড়ার পর যদি আপনি উপকৃত হয়েছেন বলে মনে হয় তাহলে আপনি আপনার বন্ধু - বান্ধবের নিকট এটি শেয়ার করতে পারেন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url