জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম

প্রকৃতির অমূল্য দান জামের প্রতিটি অংশে রয়েছে অসধারণ উপকারিতা। জাম ফলের পাশাপাশি এর বিচি ও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রাচীনকাল থেকে জাম এবং এর বিচি নানা রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে । আজকের এই পোস্টে আমরা জানাবো জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে।

জামের বিচি গুড়া করার নিয়মঃ

 প্রথমে আমাদের জাম হতে বিচি সংগ্রহ করতে হবে। এরপর বিচি গুলোকে রোদে ভালোভাবে শুকাতে হবে। ভালোভাবে শুকনো হয়ে গেলে চুলোয় হালকা আছে একটু ভেজে নিতে হবে। তাহলে গুঁড়ো করতে আরও সুবিধা হবে। এরপর বেশিগুলোকে পাটাই কিসে অথবা ব্লেন্ডারের ব্লেনডিং করে গুঁড়ো করতে  হবে।  হ্যাঁ হয়ে গেলো জামের বিচির গুড়া। এখন এটাকে কাঁচের কোন কৌটায়  সংরক্ষণ করতে হবে, তাহলে অনেকদিন পর্যন্ত এটা সংরক্ষিত থাকবে।


ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে:

ডায়াবেটিস কমবেশি এখন সব মানুষেরই একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এটা এমন একটি সমস্যা এটি নিয়ন্ত্রণে না করলে আমাদের অনেক বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। জামের বিচি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ  জামের বিচির গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে হবে। এভাবে কয়েক সপ্তাহ চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

পেট ভালো রাখেঃ

পেটের সমস্যা আমাদের এখন একটা জাতীয় সমস্যা হয়ে গেছে বলতে হয়।  গ্যাসের সমস্যা বদহজমের সমস্যা সব সময় লেগেই থাকে। এইসব পেটের সমস্যা সমাধান করতে পারে জামের বিচি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জামের বিচির গুঁড়ো এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। এভাবে কয়েকদিন খেলে পেটের সমস্যা ভালো হয়।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: 

আপনি কি জানেন? জামের বিচি আমাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না থাকলে অনেক বড় ধরনের বিপদ ঘটে যেতে পারে যে কোন মুহূর্তেই। জামের বিচির গুঁড়ো এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে  পান করলে তা উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে । এটি হৃদপিণ্ড ভালো রাখতেও সাহায্য করে।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকলে শরীরে  বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখা আমাদের জরুরি। নিয়মিত জামের  বিচির গুঁড়া খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। প্রতিদিন এক চামচ জামের বিচের গুড়া পানির সাথে অথবা মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলে উপকার মিলবে।  

লেখক এর মন্তব্য 

জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম  এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিত ভাবে জামের বিচির গুড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত করতে চান তাহলে নিচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে করতে পারেন। আমরা আপনার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আটিকেল নিয়মিত পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন আর আর্টিকেলটি পড়ার পর যদি আপনি উপকৃত হয়েছেন বলে মনে হয় তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট এটি শেয়ার করতে পারেন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 
 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url